কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি করুক কিন্তু প্রতিদিন প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করলে মানুষ চলাফেরা করবে কিভাবে। প্রতিদিন তো কর্মসূচি দেওয়ার দরকার নাই। প্রতিদিন তাদের কি কর্মসূচি আছে। আন্দোলনের নামে উস্কানিমূলক কথাবার্তা আর অহেতুক পুলিশের ওপর তারা আক্রমণ করে তারা। আন্দোলনের মাঠে যে তারা আছে এটা দেখানোর একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে তাদের।
মন্ত্রী আরও বলেন, টানা তিন মাস আন্দোলন করেও বিএনপি সফল হয়নি। উস্কানিমূলক আচরণ, উশৃংখল কর্মকাণ্ড ও তান্ডব চালিয়ে তারা কখনোই আন্দোলনে সফল হতে পারবেনা। যখনই করতে যাবে জনগণ এটাকে বাধা দিবে। তারা রাজপথ দখল করতে আসলে তাদেরকে রাজপথেই মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ময়মনসিংহের সার্কেল অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগরীর ঢোলাদিয়া এলাকায় প্রায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ভবনের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে বিএডিসি।
বাংলাদেশে খাদ্য সংকট নেই উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যের জন্য বাংলাদেশে কোন হাহাকার নেই। না খয়ে কোন মানুষ মারা যায়নি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে কিছু খাদ্যের দাম বেড়েছে। এরজন্য বাংলাদেশের কিছু মানুষ কষ্টে আছে। তাদের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার সরকার ওএমএস, টিসিবিসহ বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী চালু রেখেছে। সরবরাহ ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে সরকার নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ না করে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
বিএডিসির ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন শেষে নগরীর টাউনহলের এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাত সমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, কাজীম উদ্দিন আহমেদ ধনু, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ পরমাণূ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, ব্রী’র পিএসও ড. মো. ইব্রাহিম, ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আশরাফ উদ্দিনসহ কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।