আরও ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারের অনুমোদনের জন্য এ প্রকল্প এখন পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
আজ দুপুরে কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ ছাড়া ইভিএম সংরক্ষণে জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্য এখানে ব্যয় রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। এক দিনে ১৫০ আসনে ভোট করতে হলে আরও প্রায় ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন হবে।
এর আগে ইসি সচিবালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে যে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, তাতে মোটা দাগে তিনটি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আছে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা, ইভিএম সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং ইভিএম–সংক্রান্ত জনবল তৈরি। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকার বেশি।
গত আগস্টে ইসির সংলাপে ২২টি রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে মতামত দিয়েছিল। এর মধ্যে ৯টি দল সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে। আরও পাঁচটি দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহের কথা বলেছে। কেবল আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে।