তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার ওয়াশিংটনের ওপর বেজায় চটেছে চীন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি হুমকি দিয়েছে বেইজিং। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে অস্ত্র বিক্রি প্রত্যাহার’ করার আহ্বান জানিয়েছে চীন।
এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, এই অস্ত্র বিক্রি ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী’ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল সংকেত পাঠাচ্ছে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে।
পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে চীন দৃঢ়তার সঙ্গে বৈধ এবং প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানের কাছে ১৬০টি ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির এ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য এসব অস্ত্র খুব জরুরি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে শুক্রবার ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এসেছে। তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে এ ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সম্প্রতি তাইওয়ান সফর করেন। তার ওই সফর নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা শুরু হয়।
তাইওয়ানের চারপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং। এমন পরিস্থিতিতেই তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে নতুন করে যে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে এর মধ্যে আছে ধেঁয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার জন্য ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম।
এ ছাড়া আছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ৬০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, যা যে কোনো জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। এ ছাড়া আছে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ১০০ ক্ষেপণাস্ত্র।
তবে তাইওয়ানের কাছে এই অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। তবে তাইওয়ান প্রশ্নে কংগ্রেসের উভয় দল সবসময় সমর্থন দিয়ে আসছে। তাই কংগ্রেস তাইওয়ানের কাছে নতুন করে এসব অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন শিগগিরই দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।